পৃথিবীর পরিক্রমণ
ভূগোল
সপ্তম শ্রেণী
Movement of earth
Geography
Class VII
প্রশ্ন: মহাকর্ষ কাকে বলে?
উত্তর: মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকনা পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে বা টান অনুভব করে। এই টান বা আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বলে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারার নাম কি?
উত্তর: পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারার নাম সূর্য।
প্রশ্ন: সূর্য পৃথিবীর তুলনায় কত বড়?
উত্তর: সূর্য পৃথিবীর তুলনায় 13 লক্ষ গুণ বড়।
প্রশ্ন: সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ অর্থাৎ সৌরজগত কোন ছায়াপথের অংশ?
উত্তর: সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ অর্থাৎ সৌরজগত আকাশগঙ্গা ছায়াপথের অংশ।
প্রশ্ন: পৃথিবীর অক্ষ কাকে বলে?
উত্তর: যে কল্পিত রেখার চারদিকে পৃথিবী লাটিমের মত পাক খায় বা আবর্তন করে, তাকে পৃথিবীর অক্ষ বলে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর নিজের অক্ষের চারদিকে একবার পাক খেতে কত সময় লাগে?
উত্তর: পৃথিবীর নিজের অক্ষের চারদিকে একবার পাক খেতে সময় লাগে 24 ঘন্টা।
প্রশ্ন: পৃথিবীর মেরু বলতে কি বোঝ?
উত্তর: পৃথিবীর অক্ষ রেখাটি যে দুই প্রান্তে স্পর্শ করেছে বা যে দুই প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে গেছে সেই প্রান্ত দুটিকে মেরু বলে।
পৃথিবীর উপরের বা উত্তর দিকের প্রান্তকে উত্তর মেরু এবং নিচের বা দক্ষিণ দিকের প্রান্তকে দক্ষিণ মেরু বলে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর বিষুবরেখা বা নিরক্ষবৃত্ত কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর দুই মেরু প্রান্ত থেকে সমান দূরে অবস্থিত পৃথিবীর মাঝে বরাবর যে রেখা কল্পনা করা হয়েছে তাকে বিষুবরেখা বা নিরক্ষবৃত্ত বলে।
প্রশ্ন: সূর্যের চারদিকে একবার পাক খেতে পৃথিবীর কত সময় লাগে?
উত্তর: সূর্যের চারদিকে একবার পাক খেতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন।
প্রশ্ন: পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির বেগ কত?
উত্তর: পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির বেগ 30 কি.মি./সেকেন্ড।
প্রশ্ন: মুক্তিবেগ কাকে বলে?
উত্তর: কোন বস্তুকে যে বেগে উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে তা পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের বাইরে চলে যায় আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না তাকে মুক্তিবেগ বলে।
প্রশ্ন: মুক্তিবেগের মান কত?
উত্তর: পৃথিবীতে কোনো বস্তুর মুক্তিবেগের মান 11.2 কি.মি./সেকেন্ড।
রকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয় এই মুক্তিবেগে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর কক্ষপথ ও কক্ষতল কাকে বলে?
উত্তর: কক্ষপথ: পৃথিবী তে পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, সেই পথকে পৃথিবীর কক্ষপথ বলে।
কক্ষতল: পৃথিবীর কক্ষপথ মহাশূন্যে যে কাল্পনিক তলে অবস্থান করে, তাকে পৃথিবীর কক্ষতল বলে।
প্রশ্ন: গ্রহদের গতি সংক্রান্ত কেপলারের প্রথম সূত্রটি কি?
উত্তর: কেপলারের প্রথম সূত্র: "প্রতিটি গ্রহ উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং সূর্য ওই উপবৃত্তের একটি ফোকাসে থাকে।"
প্রশ্ন: অনুসূর অবস্থান কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবী তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে 3রা জানুয়ারী এমন এক অবস্থানে চলে আসে যেখানে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়। পৃথিবী ও সূর্যের এই অবস্থানকে অনুসূর অবস্থান বলে।
অনুসূর অবস্থানে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় 14 কোটি 70 লক্ষ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: অপসূর অবস্থান কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবী তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে 4 ঠা জুলাই এমন এক অবস্থানে চলে আসে যেখানে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয়। পৃথিবী ও সূর্যের এই অবস্থানকে অপসূর অবস্থান বলে।
অপসূর অবস্থানে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় 15 কোটি 20 লক্ষ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: চান্দ্রমাস কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে তে সময় নেয় তাকে চান্দ্রমাস বলা হয়। চাঁদ পৃথিবীকে প্রায় 27¹/₃ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে।
প্রশ্ন: সৌরদিন বলতে কি বোঝ?
উত্তর: সূর্যকে সামনে রেখে পৃথিবীর নিজের অক্ষ বা মেরু রেখার উপর একবার আবর্তন সম্পূর্ণ করতে যে সময় লাগে তাকে এক সৌর দিন বলে। পৃথিবীর এক সৌর দিনের মোট সময় হল 23 ঘন্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড।
প্রশ্ন: সৌর বছর কাকে বলে?
উত্তর: সূর্যকে কেন্দ্র করে সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে 365 দিন। এই প্রদক্ষিণ কালকে সৌর বছর বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি কাকে বলে?
উত্তর: সূর্যকে সামনে রেখে পৃথিবী নিজের অক্ষ বা মেরু রেখার চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে একটি নির্দিষ্ট গতিতে ক্রমাগত ঘুরছে। পৃথিবীর অক্ষ কেন্দ্রিক এই নির্দিষ্ট গতিকে পৃথিবীর আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি বলে। নিজের অক্ষের চারদিকে একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে 23 ঘন্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড বা 24 ঘন্টা।
প্রশ্ন: পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করতে করতে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে একটি নির্দিষ্ট গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলা হয়। বার্ষিক গতির সময় কাল বা সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘন্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 365 দিন বা 1 বছর।
প্রশ্ন: অধিবর্ষ কাকে বলে?
উত্তর: আমারা জানি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘন্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড যা এক সৌর বছর কিন্তু হিসেবের সুবিধার জন্য 365 দিনে 1 বছর ধরা হয়। ফলে প্রতি বছর 5 ঘন্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 6 ঘন্টা সময় বাড়তি থেকে রায়। এই বাড়তি সময়ের হিসাব ঠিক রাখার জন্য প্রতি চার বছর অন্তর একটা পুরো দিন (6 ঘন্টা × 4 = 24 ঘন্টা) বাৎসরিক ক্যালেন্ডারে যুক্ত করা হয়। ফলে চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাস 28 দিনের সঙ্গে এক দিন যোগ করে 29 দিন করা হয় এবং বছরটি হয় 366 দিনের। চার বছর পর পর এই 366 দিনের বছরকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার (Leap Year) বলে।
প্রশ্ন: ক্যালেন্ডারের কোন কোন বছর অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার?
উত্তর: যে সকল বছরকে 4 দিয়ে ভাগ করলে কোন ভাগশেষ থাকে না, সেই সব বছর গুলোকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার ধরা হয়। উদাহরণ হিসেবে 2020 বা 2024 সাল গুলো অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার। চার বছর অন্তর পুরো একটা অতিরিক্ত দিন ধরে নিতে থাকলে কিছু সময় বেশি ধরে নেওয়া হয় এই সমস্যা দূর করার জন্য শতাব্দীর বছরগুলোকে 400 দিয়ে ভাগ করে ভাগশেষ না থাকলে তবেই সেই বছর অধিবর্ষ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় 1600 বা 2000 বা 2400 সাল অধিবর্ষ। কিন্তু 2100 বা 2200 অধিবর্ষ নয়।
আরও পড়ুনঃ
0 মন্তব্যসমূহ
Your comment will be visible after approval