ভূপৃষ্ঠে কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় - ভূগোল - সপ্তম শ্রেণী || Determining position of any place on Earth - Geography - Class VII

ভূপৃষ্ঠে কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় - ভূগোল - সপ্তম শ্রেণী || Determining position of any place on Earth - Geography - Class VII

 ভূপৃষ্ঠে কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় 

ভূগোল
সপ্তম শ্রেণী


Determining position of any place on Earth


Geography
Class VII




প্রশ্ন: নিরক্ষরেখা কাকে বলে বা বিষুবরেখা কাকে বলে?

উত্তর: সুমেরু ও কুমেরু বিন্দু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীর ঠিক মাঝখান দিয়ে যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা কল্পনা করা হয়েছে যা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে এবং পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি সমান অংশে বিভক্ত করেছে তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে। নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার মান 0° অক্ষাংশ।



প্রশ্ন: নিরক্ষরেখাকে বিষুবরেখা বলা হয় কেন?

উত্তর: বিষুব কথাটির অর্থ সমান দিনরাত্রি। নিরক্ষরেখার উপর সারা বছর দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়ে থাকে অর্থাৎ 12 ঘন্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত হয়ে থাকে। এই কারনেই নিরক্ষরেখাকে বিষুবরেখা বলা হয়ে থাকে।



প্রশ্ন: নিরক্ষরেখাকে 0° ডিগ্রী অক্ষরেখা বলা হয়?

উত্তর: নিরক্ষরেখার উপর কোন স্থান নিরক্ষীয় তলের উপরেই অবস্থিত। ফলে ওই স্থান ও নিরক্ষীয় তলের মধ্যে কোন কৌণিক দূরত্ব তৈরি হয়না বা কৌণিক দূরত্ব 0°। অর্থাৎ নিরক্ষরেখার অক্ষাংশের মান 0°। তাই নিরক্ষরেখাকে 0° ডিগ্রী অক্ষরেখাও বলা হয়।



প্রশ্ন: অক্ষাংশ কাকে বলে?

উত্তর: নিরক্ষরেখার উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত যে-কোনো স্থান থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত একটি সোজা রেখা টানলে স্থানটি নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে একটি কোণ তৈরি করে। উৎপন্ন কোণ হল ওই স্থানের কৌণিক দূরত্ব এবং এই কৌণিক দূরত্বকেই এই স্থানটির অক্ষাংশ (latitude) বলা হয়। অর্থাৎ নিরক্ষরেখার উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত যে-কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বই হল ওই স্থানের অক্ষাংশ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কলকাতার অক্ষাংশ 22°30' উত্তর। অর্থাৎ কলকাতা, পৃথিবীর কেন্দ্র ও নিরক্ষীয় তলের সাথে 22°30' কোণ তৈরি করেছে। কলকাতার কৌণিক দূরত্ব 22°30' যা নিরক্ষরেখার উত্তর দিকে অবস্থিত। তাই কলকাতার অক্ষাংশ 22°30' উত্তর।



প্রশ্ন: অক্ষরেখা কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবী পৃষ্ঠে যেসব স্থানের অক্ষাংশ সমান, সেইসব স্থানগুলোকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যেসব কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা দ্বারা যোগ করা হয়, তাদের অক্ষরেখা বলে। 

     বা, নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কল্পিত রেখাগুলো হলো অক্ষরেখা (Parallels of Latitude)।



প্রশ্ন: অক্ষরেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা কর।

উত্তর: অক্ষরেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

1. অক্ষরেখাগুলি পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে।

2.অক্ষরেখাগুলি পরস্পর পরস্পরের সমান্তরাল।

3. অক্ষরেখা গুলো এক-একটি পূর্ণবৃত্ত (দুই মেরুবিন্দু ছাড়া)।

4. সকল অক্ষরেখার পরিধি সমান নয়। অক্ষরেখাগুলির পরিধি নিরক্ষরেখা থেকে  মেরুর দিকে ক্রমশ কমতে থাকে।

5. অক্ষরেখার মান মেরুর দিকে ক্রমশ বেড়ে যায়।

6. অক্ষরেখা গুলোর মান 0° থেকে 90° পর্যন্ত হয়।

7. প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টি 360° (দুই মেরুবিন্দু ছাড়া)।



প্রশ্ন: মূলমধ্যরেখা বলতে কি বোঝ?

উত্তর: যে নির্দিষ্ট দ্রাঘিমা রেখাটি লন্ডনের উপকন্ঠে অবস্থিত গ্রিনিচ শহরের রয়্যাল অবজার্ভেটরির ওপর দিয়ে উত্তরে সুমেরু বিন্দু থেকে দক্ষিণে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে, সেই রেখাটিকে মূলমধ্যরেখা বা প্রধান দ্রাঘিমারেখা বলে। মূলমধ্যরেখা বা প্রধান দ্রাঘিমারেখার মান 0°।



প্রশ্ন: দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবী পৃষ্ঠে কোন স্থান যে দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত সেই দ্রাঘিমা রেখা ও মূলমধ্যরেখা নিরক্ষীয় তলে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুর সহিত যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে সেই স্থানের দ্রাঘিমাংশ (longitude) বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কলকাতার দ্রাঘিমাংশ 88°30' পূর্ব। অর্থাৎ নিরক্ষীয় তলে কলকাতা স্থানটি পৃথিবীর কেন্দ্র ও মূলমধ্যরেখার সহিত 88°30' কোণ উৎপন্ন করে। এবং কলকাতার মূলমধ্যরেখার পূর্ব দিকে অবস্থিত। তাই কলকাতার দ্রাঘিমাংশ 88°30' পূর্ব।



প্রশ্ন: দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবীর যে সব স্থানের দ্রাঘিমার মান সমান সেই সব স্থানগুলোকে উত্তরের সুমেরু বিন্দু থেকে দক্ষিণের কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত কোন কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করলে ভূপৃষ্ঠের ওপর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত যে অর্ধবৃত্তাকার রেখা পাওয়া যায়, তাদের দ্রাঘিমা রেখা বলে।

         আবার অন্য ভাবে বলা যায়, মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ও পশ্চিমে উত্তরমেরু বিন্দু থেকে দক্ষিণমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঙ্কিত লম্বালম্বি অর্ধবৃত্তাকার রেখাগুলোকে দ্রাঘিমারেখা বলে।

         আরো সহজ করে বলতে গেলে, একই দ্রাঘিমাংশ যুক্ত স্থানগুলোকে যদি একটা সরলরেখা দিয়ে জুড়ে দেওয়া যায় তবে সেই অর্ধবৃত্তাকাররেখাটাই হবে দ্রাঘিমারেখা।



প্রশ্ন: দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা কর।

উত্তর:

দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

1. দ্রাঘিমারেখা গুলি পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে।

2. দ্রাঘিমারেখা গুলো প্রত্যেকটি অর্ধবৃত্ত।

3. সকল দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান।

4. দুটি দ্রাঘিমারেখার মাঝের দূরত্ব নিরক্ষরেখার কাছে সবচেয়ে বেশি। নিরক্ষরেখার থেকে মেরুর দিকে তাদের দূরত্ব ক্রমশ কমে যায়।

5. প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বিন্দুতে গিয়ে মিশেছে।

6.  180° পূর্ব এবং 180° পশ্চিম যেহেতু একটাই দ্রাঘিমা রেখা, তাই এক্ষেত্রে পূর্ব বা পশ্চিম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।

7. দ্রাঘিমারেখা গুলোর মান 0° থেকে 180° পর্যন্ত হয়।

8. প্রত্যেকটি দ্রাঘিমার কোনের সমষ্টি 180°।



প্রশ্ন: স্থানীয় সময় কাকে বলে?

উত্তর: কোনো স্থান থেকে আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান (90°) দেখে যে সময় গণনা করা হয়, তাকে বলে স্থানীয় সময়। অর্থাৎ কোন দ্রাঘিমারেখায় সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপর আসে, তখন সেখানে মধ্যাহ্ন বা বেলা 12 টা এবং সেই অনুসারে যে সময় গণনা করা হয়, তাকেই স্থানীয় সময় (local time) বলা হয়। এরপর এই মধ্যাহ্ন সময় অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় গণনা করা হয়। সূর্যের অবস্থান অনুসারে এই সময় নির্নয় করা হয় বলে স্থানীয় সময়ের আর এক নাম সৌরসময়। একটি দেশের ওপর দিয়ে একাধিক দ্রাঘিমারেখা প্রসারিত হয় বলে স্থানীয় সময়ও অনেকগুলি হয়ে থাকে।


প্রশ্ন: প্রমান সময় কাকে বলে?

উত্তর: একটি দেশের ওপর দিয়ে অনেকগুলো দ্রাঘিমারেখা বিস্তৃত থাকলে, তাদের স্থানীয় সময়ও বিভিন্ন হবে। ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুযায়ী চলতে গেলে গোটা দেশে ব্যপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, বিশেষত ডাক, বিমান, রেল প্রভৃতি চালনার জন্য। এই সমস্যা দূর করার জন্য ওই দেশের মাঝামাঝি একটি দ্রাঘিমারেখাকে প্রমান দ্রাঘিমারেখা ধরে নিয়ে তার স্থানীয় সময় অনুযায়ী গোটা দেশের কাজকর্মের সময় স্থির করা হয়। দেশের মধ্যবর্তী ওই দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে তখন ওই দেশের প্রমান সময় বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ভারতের প্রমান সময় স্থির করা হয়েছে 82°30' পূর্ব দ্রাঘিমারেখা ধরে যা এলাহাবাদের ওপর দিয়ে প্রসারিত। এলাহাবাদের স্থানীয় সময় অনুসারে গোটা দেশের প্রমান সময় স্থির করা হয়েছে।



প্রশ্ন: GPS এর পুরো নাম কি? 

উত্তর: GPS পুরো কথাটি হল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (Global Positioning System)



প্রশ্ন: GPS কাকে বলে?

উত্তর: কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে পৃথিবী পৃষ্ঠের কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের মাধ্যমে ওই স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতিকে GPS বলে। এর সাহায্যে অতিদ্রুত কোনো স্থানের অবস্থান জানা যায়। বর্তমানে বিমান, জাহাজ ও আধুনিক যানবাহন চলাচলে এমনকি মোবাইল ফোন, ঘড়ি প্রভৃতিতে GPS ব্যবহৃত হয়।



প্রশ্ন: GPS এর জনক কাকে বলা হয়?

উত্তর: ব্র্যাডফোর্ড পারকিনসনকে GPS এর জনক বলা হয়।



প্রশ্ন: একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলোতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় কি? যদি না হয় তাহলে কেন হয় না?

উত্তর: একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলোতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় না। কারণ অক্ষরেখাগুলি পূর্ব-পশ্চিমে পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করার ফলে সূর্য পৃথিবীর পূর্বদিকে প্রথমে কিরণ দেয় এবং এরপর ধীরে ধীরে পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়। এই কারণে অক্ষরেখার পূর্বদিকের স্থানগুলিতে পশ্চিম দিকের স্থানগুলোর তুলনায় আগে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত হয়।



প্রশ্ন: কোথায় গেলে পূর্ব আর পশ্চিম গোলার্ধ উভয়ই একই সঙ্গে দেখতে পাবে?

উত্তর: ইংল্যান্ড বা ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের গ্রিনিচ শহরে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধ উভয়ই একই সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। এক পা পূর্ব গোলার্ধে, আরেক পা পশ্চিম গোলার্ধে দিয়ে ছবি পর্যন্ত তোলা যায়।


প্রশ্ন: অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক প্রার্থক্য লেখ।

উত্তর: 

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক প্রার্থক্য :-

অক্ষরেখাদ্রাঘিমারেখা
1. অক্ষরেখাগুলি পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে1. দ্রাঘিমারেখা গুলি পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে
2. অক্ষরেখা গুলো এক-একটি পূর্ণবৃত্ত (দুই মেরুবিন্দু ছাড়া)2. দ্রাঘিমারেখা গুলো প্রত্যেকটি অর্ধবৃত্ত।
3. অক্ষরেখাগুলি পরস্পর পরস্পরের সমান্তরাল3. দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর পরস্পরের সমান্তরাল নয়
4. সকল অক্ষরেখার দৈর্ঘ্য বা পরিধি সমান নয়4. সকল দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান
5. অক্ষরেখা গুলোর মান 0° থেকে 90° পর্যন্ত হয়5. দ্রাঘিমারেখা গুলোর মান 0° থেকে 180° পর্যন্ত হয়
6. প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টি 360° (দুই মেরুবিন্দু ছাড়া)6. প্রতিটি দ্রাঘিমার কোনের সমষ্টি 180°


প্রশ্ন: একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলোর স্থানীয় সময় এক হয় কেন?

উত্তর: পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে কিন্তু দ্রাঘিমারেখা গুলো উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত তাই প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার সকল স্থান একই সঙ্গে সূর্যের সামনে আসে বা দূরে সরে যায় তাই প্রতিটি দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলোয় একই সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হয় অর্থাৎ জায়গাগুলোর স্থানীয় সময় এক হয়।



প্রশ্ন: পৃথিবীর কোন দিকে গেলে সময় এগিয়ে যায় এবং কেন?

উত্তর: পৃথিবী যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে তাই মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে গেলে সময় এগিয়ে যেতে থাকবে কারণ সূর্য পূর্ব দিকে আগে ওঠে।



প্রশ্ন: লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভারতে সরাসরি রাত 11টা 30 মিনিটে শুরু হয়। লন্ডনে ওই অনুষ্ঠান কখন আরম্ভ হয়েছিল ?

উত্তর: আমারা জানি, লন্ডনের দ্রাঘিমা 0° এবং ভারতের প্রমাণ সময় ধরা হয় 82°30' পূর্ব  দ্রাঘিমার সময় অনুযায়ী।

দুটি স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য (82°30' - 0°)=82°30′

এখন দুটি স্থানের মধ্যেকার সময়ের পার্থক্য নির্ণয় করি।

আমরা জানি,

  1° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য  4 মিনিট

82° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য 82 x 4 মিনিট 

                                                               = 328 মিনিট

আবার,

60' দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য 4 মিনিট

 1'  দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য $\frac{4}{60}$ মিনিট 

30' দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য $\frac{4×30}{60}$ মিনিট 

                                                                = 2 মিনিট

মোট সময়ের পার্থক্য 328 মিনিট + 2 মিনিট = 330 মিনিট বা 5 ঘন্টা 30 মিনিট 

লন্ডন ভারত অপেক্ষা পশ্চিমদিকে অবস্থিত তাই লন্ডনের স্থানীয় সময় ভারত অপেক্ষা কম হবে।

অর্থাৎ লন্ডনের স্থানীয় সময় হবে রাত 11 টা 30 মিনিট - 5 ঘণ্টা 30 মিনিট

                                                    = সন্ধ্যা 6 টা

অর্থাৎ লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভারতে সরাসরি রাত 11টা 30 মিনিটে শুরু হলে লন্ডনে ওই অনুষ্ঠান  আরম্ভ হয়েছিল সন্ধ্যা 6 টায়।


আরও পড়ুনঃ

পৃথিবীর পরিক্রমণ - ভূগোল - সপ্তম শ্রেণী || Prithibir Paricraman - Geography - Class VII 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ